প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে তিস্তা নদীর পানি বন্টন, সীমান্তে বাংলাদেশীদের গুলি করে হত্যা, বাণিজ্য ঘাটতি কমানো ইত্যাদি দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধানের ন্যায্য কোন দাবি আদায় ছাড়াই প্রতিরক্ষাসহ ১১টি চুক্তি এবং ২৪টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার শহর। ১৫ এপ্রিল শনিবার বাদ আসর জামায়াত, ছাত্রশিবির ও শ্রমিক কল্যান নেতৃবৃৃন্দের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
মিছিলোত্তর সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ভারত বাংলাদেশের উজানে অভিন্ন ৫২ টি নদীতে অন্যায়ভাবে বাধ নির্মাণ ও একতরফা পানি প্রত্যাহার করার ফলে ইতোমধ্যেই দেশে মরুকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফ সীমান্তে প্রতিনিয়ত পাখির মত বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা করে চলেছে। কিন্তু সরকার এই ইস্যুতে রহস্যজনকভাবে নিরব। ভারতের সাথে আমাদের বণিজ্য ঘাটতি ক্রমেই বাড়ছে বৈ কমছে না। দেশবাসী আশা করেছিল প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর করে বাংলাদেশের জনগণের বহু প্রত্যাশিত তিস্তার পানি বন্টন চুক্তিসহ বাংলাদেশের অন্যান্য ন্যায্য পাওনা আদায় করে দেশে প্রত্যাবর্তন করবেন। কিন্তু তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি করার পরিবর্তে ভারতের সাথে প্রতিরক্ষাসহ ১১টি চুক্তি ও ২৪টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে বাংলাদেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে ভারতের হাতে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তুলে দিয়ে দেশে ফিরেছেন। এসব চুক্তির বেশিরভাগ জুড়ে রয়েছে প্রতিরক্ষা বিষয়ক। নেতৃবৃন্দ তিস্তার পানির নায্য হিস্যা আদায় সহ ভারতে সাথে সকল দ্বিপাক্ষিক সমস্যা সমাধানে সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানান।
পাঠকের মতামত: